
সম্ভবত রংপুরে যখন ছিলাম তখন আমি স্বপন ভাইকে চিনতাম। এই সম্ভবত বলার কারণ হলো তখন স্বনামে তাকে চিনি না, সম্ভবত মেশতাড়ুয়া ছদ্মনামে লেখালেখি করতেন, যার অধিকাংশই প্রযুক্তি বিষয়ক। তিনি সেই স্বপন কি না আমি এখনো নিশ্চিত না। মোটামুটি ধরেই নিয়েছি, তিনিই সেই মেশতাড়ুয়া। তো সেই পরিচয় মুখ্য না, আলাপের ঘনিষ্ঠতা বাড়ে রংপুর বিভাগ সাংবাদিক সমিতির সদস্য করা নিয়ে। বলা যায় প্রায় জোর করে আমাদের সদস্য করান স্বপন ভাই।
সে তো কাজের আলাপ, কাজের আলাপে কখনো একটা মানুষকে চেনা যায় না, অন্তত আমার তাই মনে হয়। একবার রংপুর বিভাগ সাংবাদিক সমিতির নৌভ্রমণে চাঁদপুর গেলাম, সেসময়ে কথা হয়েছিল। অনেক কথা। খুব অল্প কথায় স্বপন ভাইকে আমি বিশ্লেষিত করতে পারবো না। কারণ সংগ্রাম করে উঠে এসে একটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা এতো সহজ না। তার মধ্যে স্বপ্নবিভোর মানুষ। যিনি অনেক কিছুই করতে চান। কেরামত উল্লাহ বিপ্লব ভাই স্বপন ভাইকে একটা ল্যাপটপ উপহার দিয়েছিলেন, শুধু তার প্রযুক্তিগত আগ্রহ দেখেই। একটা মানুষ কারো সহায়তা ছাড়া কীভাবে জ্ঞান আহরণ করতে পারেন, কীভাবে অর্জন করতে পারেন নানাবিধ শিক্ষা; তা এম আর জান্নাত স্বপন ভাইকে না দেখলে, না বুঝলে এটা অনুধাবন করা সম্ভব না। আমার মনে হয় তাকে লজিস্টিক সাপোর্ট দেয়া হলে তিনি বিস্ময়কর কিছু করে ফেলতে পারেন, যদিও তিনি আমার নিকট বিষ্ময়কর বটে!
জন্মদিনে শুভেচ্ছার অজস্রতায়…
লিখেছেন: মাহতাব হোসেন
প্রকাশিত: কুড়িগ্রাম লাইভ ডট কম
তারিখ: ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯